বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা কলাপাড়ায় নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার কলাপাড়া বাজার আয়োজিত  ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন কলাপাড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক সাড়ে ১২ মন মাছ জব্দ কলাপাড়ায় ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মেগা প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত ৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন বাকেরগঞ্জে স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্বের ঘটনায় সাবেক এমপিকে জড়ানোয় বিএনপির উদ্বেগ অপারেশন ডেভিল হান্ট” কলাপাড়ায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৬ কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার টুরিষ্ট ভিসায় জেল খেটে বিদেশ ফেরত মকছুদ।কলাপাড়ায় দুই  প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা কলাপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি’র দলবদল কলাপাড়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
কচু চাষে ভাগ্য পরিবর্তনের গল্প শোনালেন আলী আহম্মেদ ঘরামী

কচু চাষে ভাগ্য পরিবর্তনের গল্প শোনালেন আলী আহম্মেদ ঘরামী

Exif_JPEG_420

Sharing is caring!

মোয়াজ্জেম হোসেন  ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক সময় বন জঙ্গলের ডোবা কিংবা পরিত্যাক্ত স্থানে ব্যাপক পানিকচু জন্ম হতো। কিস্তু কালের বিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে এখন আর তা চোখে পারেনা। উপজেলা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের আলী আহম্মেদ ঘরামী অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ৩৯ শতক জমিতে কচু চাষ শুরু করেন। গত ৭ বছর ধরে তিনি কচু চাষ করে আসছেন। কচুতে প্রচুর ভিটামিন থাকায় সবজি হিসাবে বাজারে কচুর ব্যাপক চাহদিা রয়েছে। কচু চাষে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। নেই তেমন পোকা ও রোগবালাই। তাই অনেক কৃষক এখন কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে ১৬৫ শতক জমি বর্গা নিয়ে উপজেলার সলিমপুর গ্রামের আলী আহম্মেদ ঘরামী বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে ক্ষেতে পানি জমে তা নষ্ঠ হয়ে যায়। এ সময় তার সংসার চালানো ও ছেলে মেয়ের পড়াশুনা করাতে হিমশিম খেতে হয়। এর পর নিজের প্রচেষ্টায় সে ৩৯ শতক এই পানি কচু চাষ শুরু করে। তার ক্ষেত এখন সবুজে সমাহার। পানি কচু চাষ করে  তার সংসারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা এমটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কচু চাষি আলী আহম্মেদ ঘরামী বলেন, ক্ষেতের কচু বিক্রির শেষ সময় অগ্রহন মাস পর্যন্ত। এ বছর আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ও সময় মত বৃষ্টি হওয়ায় আশানুরুপ কচুর চাষ ভাল হয়েছে। এ বছর তিনি পানি কচু ও লতি বিক্রি করে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হবে। এখন তার কোনো ধারদেনা নেই। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তার কচু চাষ আরো ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেত বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, কচু সবজি স্বাস্থ্যর জন্য উপকারি  ও পরিবেশ বান্ধব এবং ভিটামিন যুক্ত সবজি। কচু উৎপাদনে খরচ কম। রোগ বালাই কম। দামও ভাল পাওয়া যায় কৃষকরা এ উপজেলার সলিমপুর, ধানখালী, মিঠাগঞ্জ এলাকায় বর্তমানে কচু চাষ করছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD